সাজেক ভ্রমণ বিস্তারিত আলোচনা করবো। সাজেক কিভাবে যাবেন, ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময়? কোথায় থাকবেন? কোথায় কোথায় ঘুরবেন এই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া আছে।
Table of contents
সাজেকঃ
রাঙ্গামাটির একেবারে উওরে অবস্থিত সাজেক। এই সাজেক ভ্যালিতে রয়েছে দুটি পাড়া- রুইলুই এবং কংলাক। সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া কংলাক পাহাড় । ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কংলাক পাহাড়। চূড়ায় উঠতে উঠতে দেখতে পাবেন, মিজোরাম সীমান্তের পাহাড় আর সবুজের মিতালি। সাজেকে মূলত লুসাই ,পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসী বসবাস করে । সাজেকের কলা ও কমলা বেশ বিখ্যাত ।বিস্তারিত জানতে পুরোটা ব্লগ ভালো ভাবে দেখেন।
অর্থ কিঃ সাজেক শব্দটা মনে আসলেই, প্রকৃতি প্রেমীদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে মেঘময় এক পৃথিবীর ছবি । কখনো তীব্র শীত আবার মুহূর্তেই বৃষ্টি ।এখানে ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়।
ভ্রমনে যাওয়ার আগে আমাদের নিজস্ব শপ থেকে কিনলেই পাবেন ২০% ছাড়
https://banglars.com/
কখন যাবেন সাজেকঃ
সাজেকের রূপের আসলে তুলনা হয়না । সারা বছরই বর্ণিল সাজে থাকে সাজেক। বছরের যে কোন সময় আপনি সাজেক ভ্রমণ করতে পারেন, তবে সাজেকে প্রকৃতির আসল রূপ দেখার জন্য সেরা সময় হচ্ছে বর্ষাকালের শেষ দিকে এবং শীতকাল. তার মানে জুলাই থেকে নভেম্বের এই মাসে সাজেকের চারপাশে মেঘের খেলা দেখা যায় বেশি। তাই এই সময়টাই সাজেক ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় । সাজেক ভ্রমণ প্যাকেজ জানতে বিস্তারিত
কম খরচে সাজেক ভ্রমণঃ
আমাদের সিনবাদ ট্যুর অ্যান্ড ত্রাভেলস দিচ্ছে কম খরচে সাজেক ভ্রমণ বিস্তারিত জানতে ভিজিট করে আসুন সিনবাদ ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেল
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো
১.ব্যবহারেই বংশের পরিচয়। যেখানেই যান না কেন, স্থানীয় লোকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন। ভুলেও কোনো প্রকার আপত্তিকর আচরণ করবেন না।
২.ছবি তোলার ক্ষেত্রে সাবধান। স্থানীয় লোকজনের বিশেষ করে নারীদের ছবি তুলবেন না।
৩.সাজেকে পানির এবং বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। এ ছাড়া সবকিছুর দামও তুলনামূলকভাবে বেশি। চেষ্টা করবেন পানি ও বিদ্যুৎ কম খরচ করার। পারলে খাগড়াছড়ি থেকে পানি কিনে নিয়ে যেতে পারেন।
৪.সাজেকে মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যা করে। তাই রবি–এয়ারটেল সঙ্গে নেবেন।
সাজেকের অনেক সুন্দর একটা ছবি।
৫.উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে কোথাও অহেতুক চিল্লাপাল্লা করবেন না। যেখানেই যাবেন, চেষ্টা করবেন সবাই একসঙ্গে থাকার।
৬.চেষ্টা করবেন চাঁদের গাড়ির ছাদে না ওঠার জন্য।
৭.চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তা হলে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যেতে পারেন।
৮.ভেজা কাপড় রাখার জন্য পলিথিন সঙ্গে রাখতে পারেন।
৯.আর অবশ্যই চেষ্টা করবেন দর্শনীয় স্থানগুলো অপরিষ্কার না করার জন্য। দেশটা তো আমাদেরই, তাই না।