টিম সিনবাদের সাথে যেতে পারেন বান্দরবান ও বিশেষ ট্যুর প্লান
সিনবাদের সাথে যেতে পারেন খুব কম খরচে বান্দরবান।
আমাদের মাধ্যমে শপিং করলে পাবেন ২০% off শপিং করতে ভিজিট করুন ঃ banglars
🇧🇩 ভ্রমণের স্থান সমুহ-
১- নীলগিরি
২- নীলাচল
৩- চিম্বুক পাহাড়
৪- শৈল প্রপাত
৫-স্বর্ণ মন্দির
৬-মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র
৭-পাহাড়ি পল্লী
৮-নৌকা ভ্রমণ
৯-সাঙ্গু নদী
১০-মিলনছড়ি
১১. সাঙ্গু ঝর্না
১২. বৌদ্ধ মন্দির।
যাত্রাঃ
যাত্রা শুরু রাত ১০ টায়। পিক আপ পয়েন্ট- (আব্দুল্লাহপুর/আরামবাগ/ফকিরাপুল/সায়দাবাদ/পান্থপথ)

পূর্ণাঙ্গ ট্যুর প্লানঃ
বাস থেকে নেমে হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট। এরপর দুই ঘন্টা বিশ্রাম(রুম খালি থাকা সাপেক্ষে)। সকাল ১১ টায় বান্দরবানের ঐতিহাসিক স্বর্নমন্দির পরিদর্শন। উচু পাহাড়ে এমন একটা মন্দির দেখে অবাক না হয়ে পারবেন না। সাজানো ও পরিপাটি পরিবেশের এই মন্দিরটির শৈল্পিক কারুকার্য সবাইকে মুগ্ধ করে।
ছবিঃ স্বর্নমন্দির, বান্দরবান।
স্বর্নমন্দির ঘুরে বান্দরবানের বিখ্যাত “দ্য ফুড প্যালেস” রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়ে চলে যাবো মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে সুবিশাল একটি ঝুলন্ত ব্রিজ। এছাড়াও রয়েছে কেবল কার এবং বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা। কেবল কার রাইডটি খুবই রোমাঞ্চকর। এছাড়াও সুবিশাল আয়তনের এই পর্যটন কেন্দ্রে পাবেন উপজাতিদের গ্রাম।

মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে শেষ বিকেলে মেঘ দেখতে চলে যাবো নীলাচল। সেখানে বার্ডস আই ভিউতে পুরো বান্দরবান শহরের দিকে তাকিয়ে মনে পরে যেতে পারে অতীতের সুন্দর কোনো স্মৃতি মনে পরে যেতে পারে।

বান্দরবান নীলগিরি
এরপর ব্যক্তিগত টাইম। হোটেলে বিশ্রাম অথবা শপিং, ঘুরাঘুরি করতে করতে ডিনার টাইম এসে পরবে। ডিনার শেষে হোটেলে সবাই মিলে আড্ডা, গান এবং মজার মজার ইনডোর গেমের মাধ্যমে সময় কাটিয়ে ঘুম।

ভোরে ঘুম থেকে উঠে মেঘ ধরতে চলে যাবো নীলগিরিতে। নীলগিরির চূড়ায় দাঁড়িয়ে দুই চোখ ভরে সুন্দর সৃষ্টি উপভোগ করবেন। মস্তিষ্কে জমে থাকা সকল ক্লান্তি কিংবা অবসাদ নিমেষেই দূর হয়ে যাবে। একদম সতেজ মস্তিষ্কের একজন মানুষ হয়ে ফিরবেন।
নীলগিরি থেকে ফেরার পথে শৈলপ্রপাতে দাঁড়াবে জিপ। শৈলপ্রপাতের ধবধবে সাদা পানি যে কাউকে মোহিত করে। শৈলপ্রপাতে চাইলে ভিজতে পারবেন। তবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
শৈলপ্রপাত থেকে ফেরার পথে জিপ আবার দাঁড়াবে চিম্বুকে পাহাড়ের নীচে। হেটে হেটে চিম্বুকের চূড়ায় ওঠার পর আবারও হা হয়ে যাবেন। চিম্বুক থেকে চারপাশে প্রচুর মেঘ পাওয়া যায় (ভাগ্য সহায় হলে)। এছাড়াও এই পাহাড়টার চারদিক সবুজে ঘেরা।

এখনো শেষ হয়নি। বান্দরবানের সবচেয়ে সারপ্রাইজিং মোমেন্ট টাই শেষ বিকেলে। সাঙ্গুর বুকে নৌকা ভ্রমন। সবুজ পাহাড়ের মাঝে দিয়ে বয়ে চলা সরু এক নদী। নদীর পানির বুক চিড়ে এগিয়ে যাবে আমাদের জসিম মামার নৌকা। নৌকা যতো এগিয়ে যাবে আপনি ততোই মুগ্ধ হতে থাকবেন। এ যেনো অশেষ মুগ্ধতা। একটি ঘোর সৃষ্টি হবে নিশ্চিত থাকুন। সাঙ্গুর তীর ঘেষে গড়ে ওঠা পাহাড়ি গ্রামে কিছুক্ষন জমিয়ে আড্ডা হবে। উপজাতিদের আতিথেয়তা এবং ব্যবহারে নিমিষেই তাদের আপনজন হয়ে উঠবেন।
হোটেলঃ
বান্দরবান শহরের সবচেয়ে ভালো মানের হোটেলে থাকি আমরা। হোটেল হিলটন অথবা হিলভিউতে।
ছবিঃ হোটেল হিলটন এর রুম।

এছাড়াও আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো মানের হোটেল দেয়া যাবে।
আমাদের এই প্যাকেজ টি ভিজিট করতে পারেন ক্লিক করুন